চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)
প্রতিষ্ঠাকাল: চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ) “সাংবাদিকদের কল্যাণে সর্বদা” এমন প্রত্যয় নিয়ে
গড়ে উঠে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে। সোহাগ আরেফিন’কে আহ্বায়ক এবং নুরুল আমিন খোকন’কে সদস্য সচিব করে
গঠিত হয় প্রথম আহ্বায়ক কমিটি। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংগঠনটি সংগঠিত করা হয়।
১. সংগঠনের নাম: চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সংক্ষিপ্ত নাম সিআরএ হইবে।
ইংরেজীতে : Chattogram Reporters Association (CRA).
সংগঠনের মূল ভিত্তি/স্লোগান: “সাংবাদিকদের কল্যাণে সর্বদা”
২. কার্য এলাকা: চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলা-থানা সমূহের যেসব পয়েন্টে সাংবাদিক হিসেবে
নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন সেসব এলাকা এ সংগঠনের কার্য এলাকা হিসেবে পরিগণিত হবে।
৩. প্রধান কার্যালয় : চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরের (মহানগরের) যোগাযোগ সুবিধা সংবলিত স্থানেই সংগঠনটির প্রধান
কার্যালয় থাকবে।
৪. শাখা কার্যালয়: চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রয়োজন সাপেক্ষে সংগঠনের শাখা কার্যালয় স্থাপন করা
যাবে।।
৫. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
ক) অত্র অঞ্চলে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে পেশাগত ঐক্য প্রতিষ্ঠা, পেশাগত উৎকর্ষ সাধন, প্রশিক্ষিত করে
তোলা, সাংবাদিকদের যৌক্তিক অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংহতি
স্থাপন করা।
খ) সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কর্মসূচি পরিচালনা করা। এ জন্য মহানগর,
জেলা, উপজেলা- থানা পর্যায়ে প্রশিক্ষন, গবেষনা, কর্মশালা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সেমিনারের আয়োজন করা।
গ) দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সামাজিক কাজে যৌথভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন
করা।
ঘ) সামাজিক আচার অন্যায় অবিচার, দুর্নীতির বিরুদ্দে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা। এসব কাজে স্থানীয় সরকার ও
বেসরকারী সংস্থার কর্মকান্ডে উৎসাহ দেয়া।
ঙ) রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতিতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিতে
অংশগ্রহন করে সহযোগিতা করা।
চ) দেশের এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে চলা।
ছ) পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোথাও কোনো সাংবাদিক হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে
ঐক্যবদ্ধ ভাবে তা মোকাবেলা করা। এজন্য বিবৃতি প্রদান, প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান বা সভা
সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত/ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীকে আর্থিক ও আইনী সহায়তা
প্রদান করা।
জ) সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ
করা।
৬. সাংগঠনিক কাঠামো
এই সংগঠন ৭ (সাত) স্তর বিশিষ্ট হইবে
১) উপদেষ্টা পরিষদ
২) আজীবন সদস্য
৩) নির্বাহী কমিটি
৪) শাখা কমিটি
৫) দাতা সদস্য কমিটি (যারা সংগঠনকে শুধুমাত্র অনুদান দিবেন এবং তাদেরকে সংগঠন বিশেষভাবে
সম্মাননা প্রদান করিবে)
৬) স্থায়ী সদস্য
৭) অস্থায়ী সদস্য (সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য যারা অনুমোদিত নিবন্ধিত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান থেকে
আবেদন করবে প্রত্যেক সদস্য ৬মাসের জন্য অস্থায়ী সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। ৬মাস পর যাচাই-
বাছাই কমিটির অনুমোদন স্বাপেক্ষে স্থায়ী সদস্য পদ লাভ করবেন।)
৬. ১ : উপদেষ্টা পরিষদ:
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যগণ এবং বিগত কমিটিগুলোর বিশেষ বিশেষ ভ‚মিকা রাখা সদস্যগণ
সর্বসম্মতির ভিত্তিতে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হইবেন। তাছাড়া দেশের যে কোনো অঞ্চলের স্বনামধন্য
সাংবাদিক/সম্পাদককে সংগঠনের উপদেষ্টা পদে সম্মানীত করা যাবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ
বরাবরই এ সংগঠনের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ববান হইবেন। সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যকে মিডিয়া বান্ধব
থাকা বাধ্যতামূলক। তবে উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে মনোনীত ব্যক্তিগণ সংগঠনের কোনো পর্যায়ের
কর্মকর্তা বা সদস্য পদে যুক্ত থাকতে পারবেন না। কোনো ভোটাধিকারও তাদের থাকবে না।
৬. ২: আজীবন সদস্য : স্থায়ী সদস্যদের মধ্য থেকে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ) এর
জন্য নির্ধারিত শুভেচ্ছা ফি/অনুদান প্রদান স্বাপেক্ষে সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন।
৬. ৩: নির্বাহী কমিটি
সংগঠনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও সম্প্রসারণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের সর্বময় ক্ষমতাবান
হইবেন নির্বাহী কমিটি। সংগঠনের স্থায়ী সদস্যগণের মধ্য থেকেই নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে। প্রতি দুই
বছর অন্তর কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ নির্বাচনে এ কমিটি গঠন করা হইবে এবং তারা পরবর্তী
দুই বছরকাল ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবেন।
৬.৩:(১) : শাখা কমিটি গঠন, পরিবর্তন, স্থগিত, বাতিলকরণের যাবতীয় ক্ষমতা থাকবে নির্বাহী কমিটির।
৬.৩:(২): চলমান সাংগঠনিক কর্মকান্ডের সকল পরিকল্পনা গ্রহণ, কর্মসূচি প্রদান, বাস্তবায়ন, কর্মকান্ড
পরিচালনার ব্যয় নির্ধারন, অর্থ বরাদ্দ প্রদানের একক ক্ষমতাবান হইবে জাতীয় নির্বাহী কমিটি।
৬.৩:(৩) নিন্মলিখিত ছকে/কাঠামোতে মোট ১৭/১৯ সদস্য বিশিষ্ঠ নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে।
১. সভাপতি = ১ জন
২. সিনিয়র সহসভাপতি = ১ জন (নির্বাচিত সহসভাপতিদের ভোটে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি
নির্বাচিত হইবেন)
৩. সহসভাপতি = ১ জন (সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোতে বিভাগ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পদ
সংখ্যা বাড়বে)
৪. সাধারণ সম্পাদক = ১ জন
৫. যুগ্ম সম্পাদক = ২ জন
৬. সাংগঠনিক সম্পাদক = ১জন
৭. অর্থ সম্পাদক = ১ জন
৮. দপ্তর সম্পাদক = ১ জন
৯. আইন বিষয়ক সম্পাদক = ১ জন
১০. প্রচার ও প্রকাশনা = ১ জন
১১. ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক = ১ জন
১২. আপ্যায়ন সম্পাদক = ১ জন
১৩. সহ অর্থ সম্পাদক = ১ জন
১৪. সহ দপ্তর সম্পাদক = ১ জন
১৫. সহ প্রচার সমপাদক = ১ জন
১৬. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক = ১জন
১৭. নির্বাহী সদস্য = ২/৪ জন
এছাড়া শাখা কমিটিগুলোর নির্বাচিত সভাপতিগণ পদাধিকার বলে নির্বাহী সদস্য হিসেবে থাকবেন।
৬. ৪: শাখা কমিটিসমূহ
চট্টগ্রাম মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ে কর্মরত সংবাদ কর্মিদের সমন্বয়ে শাখা
কমিটি গঠন করা যাইবে। সেক্ষেত্রে সকল শাখা কমিটি কেবলমাত্র নির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
শাখা কমিটিগুলো বরাবরই ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ হবে। শাখা কমিটির কাঠামো নিন্মরুপ হবে:
১. সভাপতি = ১ জন
২. সহসভাপতি = ২ জন
৩. সাধারন সম্পাদক = ১ জন
৪. যুগ্ম সম্পাদক = ১ জন
৫. সাংগঠনিক সম্পাদক = ১ জন
৬. অর্থ সম্পাদক = ১ জন
৭. দপ্তর সম্পাদক = ১ জন
৮. প্রচার সম্পাদক = ১ জন
৯. সদস্য = ৩ জন
৬. ৫: দাতা সদস্য : সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, মিডিয়া প্রেমী, বিতর্কমুক্ত বিশিষ্ঠজন
সংগঠনের উন্নয়নে এককালীন ১০,০০০ বা তদুর্ধো পরিমাণ টাকা সংগঠনের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিয়ে
দাতা সদস্য পদ লাভ করার সুযোগ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটির প্রস্তাবনায় ও সমর্থনে দাতা
সদস্য হিসেবে গ্রহণ ও ঘোষণা দেয়া যাবে। তবে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
৭. সিআরএ এর সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা:
৭. (ক) মূলত: সিআরএ চট্টগ্রামে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন। যারা স্থানীয় ও জাতীয়
গণমাধ্যম যেমন: সকল নিবন্ধিত রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়ায় কাজ করেন এমন
সংবাদকর্মিরা সদস্য পদ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমনকি চট্টগ্রামের অধিবাসী হিসেবে
যারা দেশের অন্যান্য স্থানে কিংবা প্রবাসে সাংবাদিকতায় নিয়োজিত রয়েছেন তারাও সিআরএ‘র সদস্য
হওয়ার যোগ্যতা রাখবেন।
৭. (খ) স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের একই গণমাধ্যম থেকে একই শাখায়/কমিটিতে ২ (দুই) জনের
বেশি সদস্য হতে পারবেন না।
৮. সদস্য পদ লাভের প্রক্রিয়া:
৮. (ক) সিআরএ‘র নির্ধারিত ফরম/ অনলাইন সদস্য ফরম পূরনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
অস্থায়ী সদস্য ফি বাবদ সংগঠনের ব্যাংক একাউন্ট/মার্চেন্ট বিকাশে/ব্যাংকে ৩০০.০০ (তিনশত) টাকা ফি
প্রদানপূর্বক প্রমাণাদিসহ প্রাপ্ত ফরমে চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংবলিত আবেদন দাখিল করতে হবে।
নির্বাহী কমিটির আওতায় ৩ সদস্যের যাচাই বাছাই কমিটি গঠনপূর্বক তাদের যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত
সদস্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
৮. (খ) তবে সংশ্লিষ্ট যে শাখাভুক্ত এলাকা থেকে সদস্য আবেদন পাওয়া যাবে যাচাই বাছাই কমিটি
সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকের মতামত গ্রহণ নিশ্চিত করবেন।
৮. (গ) সদস্যপদে আবেদনকারীকে আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট (যে মিডিয়ায় কর্মরত) মিডিয়া কর্তৃক
নিয়োগপত্র, আইডিকার্ডের ফটোকপি ও স্ব-নামে প্রচারিত সংবাদের কাটিং/ফুটেজ জমা দিতে হবে।
৮. (ঘ) সদস্য পদে আবেদন করার পর প্রত্যেকে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন,
পরবর্তীতে সংগঠনের নিয়ম-শৃংখলা সঠিকভাবে পালনসহ কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া না গেলে
স্থায়ী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
৯. সদস্য পদ স্থগিত/বাতিল করণ
৯. ১ : সংগঠনের কোন পদ পদবীধারী বা সাধারণ সদস্য গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোনো কর্মকান্ডে জড়িত
থাকা প্রমানিত হলে।
৯. ২ : দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত
হলে (তবে রাষ্ট্রীয় বা সরকারিভাবে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কাউকে জবরদস্তি সাজা প্রদান করা হলে
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটি গঠিত বিশেষ টিম তদন্তপূর্বক তার অনুক‚লে ‘প্রতিহিংসার
শিকার’ বলে চিহ্নিত করলে তিনি সদস্যপদ হারানো থেকে রক্ষা পেতে পারেন।)
৯.৩: পর পর তিনটি সাংগঠনিক সভায় আমন্ত্রিত সদস্য/কর্মকর্তাগণ গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক কারণ ব্যতিত
অনুপস্থিত থাকলে।
৯.৪: পর পর তিন মাস সদস্য/কর্মকর্তা নির্ধারিত ফি জমা দেয়া না হলে।
৯.৫: সংগঠনের অর্থ তসরুপ করলে এবং সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী ভ‚মিকায় লিপ্ত থাকলে
৯.৬: সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন করার মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে
৯.৭: কোনো সদস্য বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশের
বিপরীতে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা/জবাব দিতে ব্যর্থ হলে
৯.৮: মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে পরিগণিত হলে
৯.৯: ক্সনতিক স্খলনজনিত কারণে
৯.১০: যে নেতা বা কর্মকর্তাকে কোনো দায়িত্ত¡ দেয়া হবে তিনি তা পালন না করলে বা পালনে অস্বীকৃতি
জানালে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক/ উপ কমিটির প্রধান তার পরিবর্তে নির্বাহী কমিটি যে কাউকে কো-
আপট করে কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
উপরোক্ত বিষয়সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত সদস্য/ কর্মকর্তার
সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করতে পারবেন। পরবর্তী নির্বাহী কমিটির ক্সবঠকে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া
ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য বা কর্মকর্তা পূণ:বিবেচনার জন্য বিষয়টি নির্বাহী
কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে সংগঠনের
বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করত: সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
৯.১১: যদি কোন সদস্যের সংবাদ মাধ্যম বন্ধ হয়ে যায় বা ৬ মাসের মধ্যে কোন প্রকার সংবাদ সংস্থা ও
সংবাদপত্রে পুনরায় নিয়োগ দেখাতে না পারেন। যদি তিনি সাংবাদিকতা পেশা ত্যাগ করেন।
৯.১২: যদি সাংগঠনিক নিউজ একাধিকবার প্রচার করতে ব্যর্থ হয় অথবা নিজ অবস্থান থেকে অন্য
কোনো প্রতিষ্ঠানেও নিউজ করাতে ব্যর্থ হয়।
৯.১৩: সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের পক্ষথেকে যৌক্তিক
কোনো অভিযোগ প্রমানিত হলে নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতিকে প্রধান করে সর্বসম্মতিক্রমে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি প্রদান করা হবে। অন্যথায়
বহিস্কার সহ সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১০) নির্বাচন প্রক্রিয়া:
১০.১: প্রতি দুই বছর অন্তর কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ নির্বাচনের জন্য ৩ (তিন) সদস্যের নির্বাচন
কমিশন গঠন করা হইবে। এরমধ্যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অপর দুই জন নির্বাচন
কমিশনার হিসেবে অভিহিত হইবেন।
১০.২: নির্বাচন কমিশনের একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা হইবে এবং কমিশনের কেউ
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
১০.৩: সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্যবর্গ থেকেই সদস্য নিয়ে সমন্বিত ভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা
যাবে। প্রয়োজনে পেশাদার অপরাপর সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়েও এ কমিশন গঠন করা যাবে।
১০.৪: চলমান নির্বাহী কমিটির মেয়াদ পূর্তির অন্তত ৪৫ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
উল্লেখিত কমিশন ৪৫ দিনের মধ্যে চুড়ান্ত নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন
সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশন বাতিল বলে গন্য হবে। তবে এক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটি পরবর্তী
৪৫ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।
১০. ৫: নির্বাচনকালীন সংগঠনের সকল ক্ষমতা নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের কাছে সংরক্ষিত থাকবে।
১০.৬: নির্বাহী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সকল শাখা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভোটার হিসেবে
বিবেচিত হবেন। একইভাবে সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সদস্যগণও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
১০.৭: কর্মকর্তা পর্যায়ে একই পদে, একই ব্যক্তি পর পর দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না বা
নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংগঠনের সকল পর্যায়ের কমিটিতে অভিন্ন নীতি কার্যকর থাকবে।
১০.৮: তফসিল ঘোষনার আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ, হালনাগাদ এবং তা যাছাই-বাছাইয়ের সুযোগ
দিয়ে পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করতে হবে।
১০.৯: নির্বাচনের ৩ (তিন) মাস আগে নতুন সদস্য নিতে কিংবা বাদ দিতে পারবেন না। নির্বাচনী
তফসিল ঘোষনার পর ব্যক্তি কেন্দ্রীক আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও আচরণ সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এমন
গর্হিত কর্মকান্ডের প্রমান নির্বাচন কমিশনের হাতে গেলে কমিশন চাইলে অভিযুক্ত প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল
করতে পারবেন।
১১. সিআরএ এর তহবিল গঠন, সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ সার্বিক অর্থ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার নিমিত্তে অর্থ
সম্পাদকের নেতৃত্বে পৃথক একটি কমিটি থাকবে।
১১.১: আয়ের উৎস
১১.১:(ক): সদস্যদের ভর্তি ফি
১১.১:(খ): সদস্য/কর্মকর্তাদের মাসিক ফি
১১.১:(গ): উপদেষ্টা/দাতা সদস্যদের এককালীন অনুদান
১১.১:(ঘ): সরকারি/বেসরকারি যে কোনো উৎস থেকে দান/অনুদান গ্রহণ
১১.১:(ঙ): নিয়মিত/অনিয়মিত প্রকাশনার মাধ্যমে সংগ্রহ অর্থ/বিজ্ঞাপন বিল/অনুদান
১১:২ ব্যয়ের বিবরণ
১১:২:(১): সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সফল করার লক্ষ্যে নির্বাহী কমিটি অনুমোদিত
যাবতীয় ব্যয়।
১১:২:(২): সিআরএ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় খরচ নির্বাহ।
১১:২:(৩): নির্বাহী কমিটি ঘোষিত কোনো সদস্যকে সহায়তা প্রদান, চিকিৎসা ব্যয় নির্ধারণ।
১১.২:(৪): সভাপতি/সাধারন সম্পাদকের লিখিত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে যে কোনো ব্যয় করা অর্থ
সম্পাদকের দায়িত্ব। তবে এ সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির অনুমোদন নেয়া সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের
দায়িত্ব।
১১.৩: হিসাব পরিচালনা
সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালিত হবে। বিকাশ, নগদ
বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে টাকা লেনদেন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারবেন। এসব অর্থ ব্যবস্থাপনার
ক্ষেত্রে অর্থ সম্পাদকসহ যে কোনো দুই জনের স্বাক্ষরে/ জ্ঞাতসারে টাকা উত্তোলন করা যাইবে।
১১.৪: ক্রয় কমিটি
সংগঠনের কর্মকান্ডে যে কোন কিছু কেনাকাটার ক্ষেত্রে তিন সদস্য বিশিষ্ট ক্রয় কমিটি গঠন করতে হবে
এবং তাদের মাধ্যমেই দরদাম চুড়ান্ত করাসহ কেনাকাটা করতে হবে। পাকা রশিদ প্রদান করতে হবে।
১১.৫: হিসাব পর্যবেক্ষণ
প্রতি বছর সাধারণ সভার পূর্বে নির্বাহী কমিটি কর্তৃক তিন সদস্য বিশিষ্ট হিসাব পর্যবেক্ষণ/নীরিক্ষা কমিটি
গঠিত হবে। এ কমিটি যাবতীয় হিসাব পর্যবেক্ষণপূর্বক অর্থ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদনকে ছাড়পত্র
প্রদান করিবেন।
১২. সভা সংক্রান্ত
সংগঠনে তিন ধরনের সভা অনুষ্ঠানের ক্সবধতা দেয়া হচ্ছে।
১২:১: সাধারণ সভা : সকল শ্রেণীর সদস্যদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত সভা ‘সাধারণ সভা’ হিসেবে
অভিহিত হবে। প্রতি বছর অন্তত দুটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে জরুরি কোনো কারণে
আরো অধিক সংখ্যক সাধারণ সভা আহবান করা যাইবে। সাধারণ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ, দাতা ও
আজীবন সদস্য, নির্বাহী কমিটি, শাখা কমিটিসহ সকল শ্রেণীর সদস্যবর্গ উপস্থিত থাকবেন। সাধারণ সভা
অন্তত ১৫ দিন আগে ঘোষণা দিতে হবে এবং জরুরি ক্ষেত্রে কমপক্ষে সাত দিন আগে সভার প্রচার
প্রচারণা ও চিঠিপত্র প্রেরণ করতে হবে।
সাধারণ সভায় শতকরা ৫১ ভাগের অংশগ্রহণে কোরাম বলে গণ্য হবে এবং উপস্থিত নির্বাহী কমিটির
সকল সদস্য এবং শাখাগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দুই তৃতীয়াংশের
সমর্থনে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে।
১২:২: নির্বাহী কমিটির সভা: অন্তত তিন দিনের আগাম নোটিশেই সভা অনুষ্ঠান করা যাবে তবে জরুরি
ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার নোটিশেই নির্বাহী কমিটি যে কোনো সভা অনুষ্ঠান করতে পারবে। বছরে অন্তত ছয়টি
সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম বলে গণ্য হবে এবং উপস্থিত সদস্যদের
তিন চতুর্থাংশের সম্মতিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।
১২:৩: শাখা কমিটির সভা: বছরে সরাসরি উপস্থিতির ভিত্তিতে অন্তত তিনটি মিটিং অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্তত ১০ দিনের সময় বেধে আগাম নোটিশ দিয়ে শাখা কমিটির সভা আহবান করা যাবে। তবে মাত্র
তিন দিনের সময় দিয়ে ডাকা যাবে জরুরি সভা। ৫১ শতাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম বলে গণ্য
হবে এবং উপস্থিত দুই তৃতিয়াংশ সদস্যের সম্মতিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে।
১২:৪: তলবি সভা : যে কোনো উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে নির্বাহী কমিটি মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েই তলবি
সভা আহবান করতে পারবে এবং সেই সভায় যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবে।
১২:৫: সভাপতির মৌখিক অনুমোদন সাপেক্ষে সাধারন সম্পাদক জাতীয় নির্বাহী কমিটির যে কোনো
সভা আহবান করতে পারবেন। তবে সাধারন সভা আহবানের ক্ষেত্রে সভাপতির লিখিত অনুমোদন
সাপেক্ষ হতে হবে।
১৩: গঠনতন্ত্র বিষয়ক: গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, পরিমার্জন, বিয়োজন করতে হলে
সাধারণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতেই কেবল তা করা সম্ভব হবে। অন্য কোনো সভায় সংবিধান
রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
১৪) বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী:
ক. সভাপতি: যিনি সিআরএ’র সর্বোচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি। সংগঠনের উন্নয়নে তিনি তার সর্বোচ্চ
মেধা ব্যয় করবেন। তার নেতৃত্বে সংগঠনটি পরিচালিত হইবে। তিনি সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সভায়
সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সংগঠনের সকল কাজে সহায়তা করবেন। যাবতীয় কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর
প্রদান করবেন এবং কোন প্রস্তাবে সমান সংখ্যক সদস্যের পক্ষ বিপক্ষ দেখা দিলে তিনি নির্ণায়ক ভোট
প্রদান করিবেন। কেন্দ্রীয় কিমিটির সভা বা বিশেষ সভার প্রয়োজন দেখা দিলে সাধারন সম্পাদককে সভা
আয়োজনের জন্য আহŸান জানাবেন।
খ) সিনিয়র সহ সভাপতি: সভাপতির অনুপস্থিতিতে তার যাবতীয় ক্ষমতা ও মর্যাদাপ্রাপ্ত হইবেন সিনিয়র
সহসভাপতি।
গ) সহ-সভাপতি: তিনি সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতির অনুপস্থিতিতে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে সভার
সভাপতিত্ব করবেন, এছাড়া সভাপতি ও সিনিয়র সহ সভাপতির কাজে সহযোগিতা করবেন।
ঘ) সাধারণ সম্পাদক: সাংবাদিকদের মাঝে ঐক্য এবং সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের যে কোনো
কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সাংবাদিকদের নানা সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে তিনি নির্বাহী
কমিটির সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য পেশ করবেন। সভাপতির সাথে আলোচনাক্রমে তিনি জাতীয়
নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করবেন। সংগঠনের সকল কর্মকান্ডে সমন্বয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা
তিনি পালন করবেন। নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ব্যতিরেকেই সাধারণ সম্পাদক নিজস্ব ক্ষমতাবলে ১০
হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ/ব্যয় করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবেন, তবে পরবর্তী নির্বাহী কমিটির ক্সবঠকেই তা
অনুমোদিত হতে হবে।
ঙ) যুগ্ম সম্পাদক: তিনি সংগঠনের ক্সদনন্দিন কাজে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন। কোথাও
কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রæত সাধারণ সম্পাদককে অবগত করবেন। অফিস ব্যবস্থাপনার কাজে
তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করবেন।
চ) সাংগঠনিক সম্পাদক: সংগঠনের আওতাভুক্ত জেলা, উপজেলা-থানা সমূহের কমিটি গঠন, পূণ:র্গঠন,
স্থগিতকরণ, বাতিলকরণের মূল প্রস্তাবনা ক্সতরি করবেন এবং তা নির্বাহী কমিটির সভাপতি/সাধারন
সম্পাদকের অনুস্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করিবেন। নতুন সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রেও তিনি যাবতীয় পদক্ষেপ
নিবেন।
ছ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: তিনি সাংগঠনিক সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন।
জ) অর্থ সম্পাদক: সংগঠনের আয়-ব্যয় সংশ্লিষ্ট যাবতীয় দায় দায়িত্ব পালন করবেন।
ঞ) সহ অর্থ সম্পাদক: অর্থ সম্পাদকের সার্বিক কর্মকান্ডে সহায়তা করা এবং অর্থ সম্পাদকের
অনুপস্থিতিতে তার দায় দায়িত্ব পালন করা।
ট) দপ্তর সম্পাদক : দপ্তর সচল রাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খাতা, রেজুলেশন
সংরক্ষণ ইত্যাদি।
ঠ) সহ দপ্তর সম্পাদক: দপ্তর সম্পাদকের যাবতীয় কাজে সহায়তা করা এবং তার অবর্তমানে দপ্তর
সম্পাদকের দায় দায়িত্ব পালন করা।
ড) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: তিনি সিআরএ’র প্রচার-প্রকাশনা, বিবৃতিসমূহ গণমাধ্যমে পাঠানোর
দায়িত্বপালন করবেন।
ঢ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: দেশীয় সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে তিনি কাজ
করবেন। বিশেষ কোন দিবসে অথবা দেশীয় সংস্কৃতিক রক্ষায় তিনি সংগঠনের নামে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন।
ণ) নির্বাহী সদস্য: সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে নির্বাহী সদস্যগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করবেন। নির্বাহী সদস্যগণ সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
১৫) সংগঠন পরিচালনা ফি : শাখা পর্যায়ের সদস্যগণ মাসিক ফি ১০০.০০ (একশত) টাকা ও কেন্দ্রীয়
পর্যায়ের সদস্যগণ মাসিক ফি ১৫০.০০ (একশত পঞ্চাশ) টাকা করে জমা দিবেন। উপজেলা পর্যায়ের
সকল সদস্যের চাঁদা তুলে অর্ধেক অংশ নিজ শাখায় জমা রেখে বাকি অর্ধেক অংশ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিবে।
১৮) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: সিআরএ প্রতি বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল শাখা কমিটির
সঙ্গে সমন্বয় করে নানা কর্মসূচি গ্রহন করতে পারবে।
১৯) সাইনবোর্ড: সিআরএ’র মনোগ্রাম সম্বলিত সাইনবোর্ড নির্মান করা যাবে। তবে কোনক্রমেই ট্রেডমার্ক
সম্বনিত সাইন বোর্ডের অনুমোদিত রং ও ডিজাইন পরিবর্তন করা যাবে না।
২০) সিআরএ’র পতাকা: সিআরএ’র নিজস্ব পতাকা থাকবে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীসহ বিশেষ কোন
দিবসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি এটি উড্ডীন করতে হবে।
#